পেস্তা বাদামের ইতিহাসঃ
রুশ মধ্যপ্রাচ্যবিদ পেট্রোসফস্কি ইরানের সাসানি যুগের ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর লেখা একটি বইতে ইরানে বিচিত্র ফুল ও ফলের গাছের পাশাপাশি বহু রকমের সব্জি চাষের কথাও লিখেছেন। এসব গাছের মধ্যে একটি হল “পেস্তা বাদাম” গাছ। সুদূর অতীতে জনগণ পেস্তার খোসা ফেলে দিয়ে ভেতরের বাদামটিকে ব্যবহার করে একধরণের শক্তিবর্ধক খাবার তৈরি করত। প্রাচীন দলিল দস্তাবেজ এবং ধর্মীয় লেখাতেও এই পেস্তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে।
হিজরি তৃতীয় শতকে মুহাম্মাদ বিন জারির তাবারি পেস্তার জন্ম হজরত আদম (আ.) এর সময়েই হয়েছে বলে মনে করতেন।
তিনি লিখেছেন: হজরত আদম (আ.) পৃথিবীতে আগমনের সময় ত্রিশ প্রকারের ফল জমিনে দেয়া হয়েছিল। দশ প্রকারের ফল ছিল চামড়াযুক্ত, দশ প্রকারের ফল ছিল বীজযুক্ত আর দশ প্রকারের ছিল চামড়া এবং বীজহীন। আখরোট, পেস্তা, বাদাম ইত্যাদি ছিল চামড়া বা খোসাযুক্ত ফলের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র তাওরাতেও পেস্তার প্রসঙ্গ আনা হয়েছিল। বলা হয়েছে: ইউসুফ (আ.) এর দরবারে ছেলেদের পাঠানোর সময় হযরত ইয়াকুব (আ.) তাদের বলেছিলেন, ইউসুফের জন্য নিজেদের ভূখণ্ডের পণ্য যেন উপহার হিসেবে নিয়ে যায়।
এই উপহার সামগ্রির মধ্যে পেস্তাও ছিল। সুতরাং, পেস্তার বাদামের ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশিই রয়েছে এর নানারকম উপকারিতা। (Collected)
Reviews
There are no reviews yet.