একটা বাড়ি আর কিছু ব্যাংক ব্যালেন্স পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আপনার কাছে আছে.।
সম্ভবত আপনার নিজের একটা গাড়ি থাকা চাই এবং যখন কাজ করার মত সামর্থ্য থাকবে না তখনও আপনি জীবনকে উপভোগ করতে চাইছেন।

সব কিছুই আপনার হবে এমনকি তার চেয়ে বেশী হতে পারে. যদি আপনি রোড টু সাকসেস-এর মত যেসব নিয়ম কানুন বলছি সেগুলো আপনার সামনে উপস্থাপিত হয়েছে তার অনুসরন করেন।
আবিস্কার করা হয়েছে সফলতার পথগুলো। এর পথ নিদের্শক চিহ্নগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই উপায় গুলো আপনাকে পথ দেখিয়ে দেবে.আপনাকে ঠিক কি করতে হবে.। এখানে পনেরটি পথ নিদের্শক চিন্হ রয়েছে আর আপনি যদি এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং সেখানে যা করতে বলা হয়েছে তার প্রতিটি কাজ যদি পালন করেন. তবে সফলতা পেতে আপনাকে কোনো বাধাই আটকাতে পারবে না।
এই ১৫ টি নিদের্শিকা এমন একজনের মনের ভাবনা থেকে বের হয়েছে যিনি এখন অত্যন্ত সফল একজন মানুষ। এখন তিনি বাড়ির মালিক। নিজের গাড়িও আছে। পর্যাপ্ত ব্যাংক – ব্যালেন্স আছে। সস্ত্রীক কয়েকজন ছেলেপুলে ও আছে। তিনি সুখি এবং সফল একজন মানুষ। আপনি যেমন সাহায্য পেয়েছেন. তাকে সাহায্য করার মতো কেউ চিল না এবং কোনো সুযোগ -সুবিধাও পাননি. আর অল্প কিছু কাল আগেই তিনি একজন খনিশ্রমিক হিসেবে জীবন শুরু করেন। এই ব্যক্তি যেমন সফল তেমনি আপনি ও সফল হতে পারবেন। শুধুমাত্র এই ১৫ টি নিদের্শিকা অনুসরন করে যেগুলো রোড টু সাকসেস -এ বলা হয়েছে।
প্রথম নিদের্শিকা হলো:জীবনের জন্যে একটা লক্ষ্য ঠিক করা!
সূর্য ডোবার আগেই আপনি জীবন কী হতে চান তার একটা লক্ষ্য আপনাকে অবশ্যই ঠিক করে ফেলতে হবে। ঠিক করার পরে একেবারে সহজ কিছু শব্দ দিয়ে স্পস্ট করে তা লিখে ফেলুন। সেটাকে এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে করে যে কেউ তা একবার পড়েই বুঝতে পারে।
এখানে কীভাবে আপনার লক্ষ্যটাকে ঠিক করবেন.:
ধরুন আপনার লক্ষ্য হলো নিজের একটা বাড়ি একটা গাড়ি. ভালো ব্যাংক ব্যালেন্স আর এমন পরিমাণে আয় যাতে আপনার বাকি জীবনটাকে আনন্দে উপভোগ করতে পারেন. আপনার লক্ষ্য নির্ধারন করে লিখে রাখার জন্য এই শব্দ গুলোর আশ্রয় নিতে পারেন:
আমার জীবনের লক্ষ্য হলো একটা বাড়ি হবে. গাড়ি এবং ভালো মানের ব্যাংক – ব্যালেন্স থাকবে এবংএমন পরিমাণের আয়ের ব্যবস্হা থাকবে যেখানে অবসর জীবনে আনন্দ আর সাবলীলভাবে জীবন যাপন করতে পারি.।
এই লক্ষ্য পূরণে আমি নিজেকে সর্বোচ্ছ পর্যায়ের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রস্তুুত এবং নিজেকে এমনভাবে নিজেকে পরিচালিত করবো যেখানে আমার কাছে থেকে সেবা গ্রহন কারী আমার কাজের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে। এটার নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে. আমার কর্মবৃন্দ সব সময় আমার কাজের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে যার বিনিময়ে আমি সেবা দিতে রাজি হয়েছি তা গ্রহন করার জন্য সবোর্চ্চ সেবা দিতে সব সময়ই সচেষ্টা থাকব. কারন আমার সচেতন জ্ঞান বলচে যে. এই স্বভাবগুলো আমাকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কর্মী হিসেবে গড়ে দেবে. পাশাপাশি আমাকে এমন বেতন অর্জনের উচ্চতায় নিয়ে যাবে যার জন্য এমন সেবা আমি দিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যয় করছি।
আমার নাম সেই লক্ষ্যের ঘড়রে লেখাব এবং দ্বাদশ রাত পর্যন্ত প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে একবার করে তা পড়ব।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে. কেউ যদি তার অভীষ্ট লক্ষ্য অতীতের সফল ব্যাক্তিরা যেমন করছিলো অর্থাৎ লিখে রাখে এবং বারোতম রাত পর্যন্ত ঘুমাতে যাবার আগে গভীর মনোযোগ সহকারে তা আত্নস্হ করে. তাহলে নিশ্চিত সে দেখতে পারবে তার লক্ষ্য পূরণ হতে চলছে।
মনে রাখতে হবে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান তা ঠিক করাই হলো সাফল্যের পথের প্রথম পদক্ষেপ। এটাও মনে রাখতে হবে যিনি এই পদক্ষেপ গুলোর নাম করন করেছেন তিনি প্রাথমিক জীবনে একজন পরিশ্রমী কয়লা শ্রমীক চিলেন. বিশেষত কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও তার ছিল না. তবে অত্যত্ন দ্রুততার সাথে তিনি সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পেরেছিলেন। আপনিও তেমনটা হতে পারবেন. যদি তার দেখানো এই পথে হাঁটতে পারেন।
নির্ধারিত করা লক্ষ্য লিখে রাখার প্রথম দিন থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বুঝতে পারবেন কর্মীরা আপনার প্রতি আগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বুঝতে পারবেন. কর্মীরা আপনার কাজের প্রকি অনেক বেশি লক্ষ্য রাখছে।কঠিন দুর্যোগ অদৃশ্য শক্তি যেন আপনাকে পেছনে থেকে সাহায্য করবে আর আপনি সাফল্যের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবেন. যেহেতু বন্ধুভাবাপন্ন একদল সৈন্য আপনার পদচিহ্ন দেখে দেখে এগিয়ে আসছে আর আপনাকে পেছনে থেকে সাহায্য করছে।
আরো লক্ষ্য করবেন. আপনি নিজেও কর্মীদের প্রতি আগের চেয়েও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। আর সেই বন্ধুদের প্রতি আপনি আস্হাশীল হয়ে যাবেন এবং তারাও আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করবে এবং শেষ পর্যন্ত দেখতে পাবেন আপনার কোনো শত্রু নেই।সবাই আপনার বন্ধু হতে শুরু করবে আর এটা আপনার লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক হবে!
এই প্রতিজ্ঞাটা এমন মানুষ করেছেন যিনি এটা অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেন এবং দেখতে পান যে কৌশলটা অত্যন্ত কার্যকর! তবে এই প্রশ্নটা করবেন না যে. এটা আপনার উপর প্রয়োগ করলে কাজে দেবে কিনা।
এই প্রতিজ্ঞাটার ভেতরে যে সব নির্দশনা দেয়া আছে সেগুলো একবার অনুসরণ করে দেখুন শিরোনামগুলো আজ থেকে আগামী এক বছর অনুসরণ করুন। দেখবেন. আগামী একবছর পর আর তা অনুসরণ করতে হচ্ছে না কারন সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নিজের হয়ে যাবে।আর তখন লোকেরা আপনার ব্যাক্তিত্ব দেখে একেবারে হতবাক হবে। আরো দেখতে পাবেন. যারা আপনাকে আগে থেকে জানে তারাই তাদের কৌশল পাল্টে ফেলে আপনার পেছনে ঘুরবে। কারন তখন তারা আপনাকে পছন্দ করে।